কিভাবে মানসম্মত `Agrico’ বীজ আলু বাংলাদেশে আসে? প্রকৃতপক্ষে, যাত্রাটি শুরু হয় বীজ আলু বিক্রির মাধ্যমে। এরপর Agrico’র অভ্যন্তরীণ বিক্রয় দল এবং গ্রোয়ার্স লজিস্টিক ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশে যথাসময়ে বীজ আলু রপ্তানীর জন্য সবকিছু প্রস্তুত আছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করে। যথাযথ কাগজপত্রও সেই অনুযায়ী প্রস্তুত করা হয়। কন্টেইনার বুক করার পর, নেদারল্যান্ডের রটারডাম থেকে আলুর যাত্রা শুরু হয়।
আলুর কন্টেইনারগুলো বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠানো হয়। যেহেতু রটারডাম থেকে কোন জাহাজ সরাসরি বাংলাদেশে যায় না, প্রায়ই সেটা সিঙ্গাপুর বা কলম্বো হয়ে যায়। তারপর সেখান (সিঙ্গাপুর বা কলম্বো)থেকে কন্টেইনারগুলো ‘ফিডার’ নামক একটি ছোট কন্টেইনার জাহাজে তাদের যাত্রা অব্যাহত রাখে, যেটি কন্টেইনারগুলোকে তাদের চুড়ান্ত গন্তব্য, চট্টগ্রামে নিয়ে যায়। আলু পৌছানোর এই পথে ইতোমধ্যে ৬ থেকে ৭ সপ্তাহ পার হয়ে যায়।
কোয়ালিটি অর্থাৎ গুনগতমানের গ্যারান্টি দিতে রেফ্রিজারেটেড কন্টেইনার ব্যবহার করা হয় যা ‘রিফার’ কন্টেইনার নামেও পরিচিত। গন্তব্যে পৌছার সাথে সাথে কন্টেইনারগুলোকে অবিলম্বে একটি বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের সাথে সংযুক্ত করাটা খুব জরুরী। এতে কন্টেইনারে থাকা বীজ আলুর কন্টেইনারটি রটারডাম ছেড়ে আসার সময় যে মানদন্ড (তাপমাত্রা, বায়ু সঞ্চালন এবং RH) সেট করা হয়েছিল সেই মানে থাকা নিশ্চিত হবে। অত:পর আমদানকিৃত বীজ আলু দেশটির আবশ্যকতা পূরণ করে কিনা তা যাচাই করার জন্য স্থানীয় ফাইটোস্যানিটারি পরিষেবা দ্বারা নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। দুই থেকে তিন দিন পরে, কন্টেইনারগুলোকে পরবর্তী অভ্যন্তরীণ পরিবহনের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়।
পরিবহনের জন্য ছাড়কৃত কন্টেইনারগুলো বন্দরে থাকা অবস্থায় আমাদের স্থানীয় আ্যাজেন্ট কর্তৃক কন্টেইনার থেকে এক এক করে ক্রেটগুলো নামানো হয় এবং দেশের ভিতরে অভ্যন্তরীণ পরিবহনের জন্য ট্রাকে লোড করা হয়। বেশ কয়েকদিন ধরে চলা যাত্রার পর, বীজ আলু আমাদের অ্যাজেন্টের নিয়োগকৃত ডিলারদের কাছে পৌঁছায়। স্থানীয় চাষিদের কাছে বিক্রি করার আগে এগুলো অস্থায়ীভাবে ডিলারদের কাছে সংরক্ষন করা হয়।
বীজ আলু ছাড়াও এই এক্সক্লুসিভ ডিলাররা প্রায়শই সবজী বীজ, রাসায়নিক সার এবং শস্য সুরক্ষার বিভিন্ন পণ্যও বিক্রি করে যাতে চাষি বা গ্রাহকেরা একটি ‘ওয়ান-স্টপ-শপ’এর সুবিধা পান, যেখানে তারা অনেক ধরনের পণ্য এবং পণ্য সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন করতে পারেন। এখান থেকে ক্রয়কৃত আলু, চাষিরা তাদের জমিতে রোপন করেন এবং এভাবে চক্রটি সম্পূর্ন হয়।
`Agrico’ ৪৫ বছরেরও বেশী সময় ধরে বাংলাদেশে ‘মালিক সিডস’ নামের অ্যাজেন্টের সাথে কাজ করছে। ডায়ম্যান্ট(Diamant) বর্তমানে বাংলাদেশে রপ্তানীকৃত জাতগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ (৯০%), কিন্তু আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জাতগুলিও প্রবর্তন করছি এবং প্রাথমিক রিপোর্ট খুব ইতিবাচক বলে মনে হচ্ছে। ক্যারোলাস (Carolus), টুইনার (Twinner) এবং আ্যালুয়েট (Allouette) জাতগুলো খুব ভালো পারফর্ম করছে। বাংলাদেশের উপযুক্ত জাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো সংরক্ষনের সময়কাল, ফলন, গন্ধ, খোসা লম্বা ডিম্বাকার কন্দ এবং ফাইটোফথোরা প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। উপরে উল্লেখিত জাতগুলো সাধারনত এই সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলি সম্পন্ন হয়ে থাকে। চাষিদের প্রচলিত অন্যান্য জাতের তুলনায় এই তিনটি জাতের ফলন উল্লেখযোগ্যভাবে অনেক বেশী।
চাষিরা প্রায়ই ৮০ থেকে ৯০ দিন পরেই ফসল সংগ্রহ করে। মার্চের পর তাপমাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে আলু জাতীয় ফসল তা সহ্য করতে পারে না। আলু তোলার পর আরও দুটি ধানের ফলন হয়, তারপর আবার আলুর মৌসুম শুরু হয়।
আমাদের অ্যাজেন্ট এবং আমাদের চমৎকার ভ্যারাইটির পাশাপাশি আমরা বাংলাদেশের ভবিষ্যত সম্পর্কে খুবই আত্মবিশ্বাসী।
Malik and Company
Plot-15, Road-02, Block-H
Aftabnagar, Dhaka-1212
+880 966 677 5544
info@malikseeds.com